Raju Dar Pocket Paratha
কেউ কেউ বলছে ৪০০ পিস্ পকেট পরোটা সারা রাতে বানানোর ফলে বাসী হয়ে যায় ,তাই এই পকেট পরোটা খেলে শরীর খারাপ হতে পারে। এই উত্তরে রাজুদা অনেক কিছু বলেছেন। এই কথা প্রসঙ্গে রাজুদা তার পকেট পরোটা বানানো থেকে বিক্রি সব কিছু এই ব্লগে জানানো হয়েছে।
বাসী পকেট পরোটা কথাটি শুনতে শুনতে রাজুদার অনেক খারাপ লাগে। কেননা রাজুদা রাত ১১:৩০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠে। রাত ১১:৩০ থেকে ৩:২০ পর্যন্ত Raju Dar Pocket Paratha কাজ চলে ,কাজ বলতে আলু , মটর , বাদাম , সয়াবিন দিয়ে আনলিমিটেড তরকারি সাথে তেল ছাড়া পকেট পরোটা। ১৫০-২০০ পিস্ সেদ্ধ ডিম্ ৫ কেজি পেঁয়াজ ২কেজি কাঁচা লঙ্কা এই সব কিছু নিয়ে প্রস্তুত করতে হয়।
Raju Dar Pocket Paratha
এবার রাজুদাকে ৩:২০ মিনিট থেকে দেড় কিলোমিটার ভ্যান করে আসতে হয় ঘুমা /গুমা প্ল্যাটফর্মে। সেখান থেকে নামিয়ে কখনো কখনো প্ল্যাটফর্মে ভ্যান তুলতে দেওয়া না দেওয়ার জন্য সেখান থেকে বুদ্ধ বাবাকে সাথে নিয়ে আলাদা আলাদা ভাবে দুজনকে তিনবার আস্তে হয় রাস্তাই। ৪০০ পিস্ পকেট পরোটা , ১৫০-২০০ পিস্ সেদ্ধ ডিম্ ,পেঁয়াজ ,কাঁচা লঙ্কা ,আলু সয়াবিন মটর বাদাম দিয়ে আনলিমিটেড তরকারি।
সেইখান থেকে সেই গুলি নিয়ে লোকাল ট্রেনের ভ্যান্ডার কে না নিলে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হয় না ,তাই ভ্যান্ডার রাখতে হয়। সেই ভ্যান্ডারকেও টাকা দিয়ে রাখতে হয়। ভ্যান্ডার একটি বারো বগির প্রথম থেকে শুরু করে লাস্ট কম্পার্টমেন্ট অব্ধি রাজুদাকে বইয়ে নিয়ে যেতে হয় রাত ৩:৪৫ মিনিটের আগে।
ট্রেনে রাজুদের মতো আরো ১০-১২ জন বা তার বেশী ব্যবসায়ীর সম্মুখীন হতে হয়। রাজুদার দুটি ড্রাম ,দুটি ড্রেসকি ,বস্তা ইত্যাদি থাকে। আগে রাজুদার ২০ পিস্ সেদ্ধ ডিম্ বিক্রি হতো এখন ১৫০ পিস্ সেদ্ধ ডিম্ বিক্রি হয়। রাজুদাকে ১ ঘন্টা ট্রেনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাত্ৰা করতে হয়।
সেইখান থেকে সকাল ৫:০৫ থেকে শুরু করে ৫:১৫ মিনিটে ট্রেন থেকে শিয়ালদহ এ নামে। সেখান থেকে ঠেলা নিয়ে ঠেলাতে দুটি ডেস্কি ,দুটি ড্রাম আর কিছু জিনিস কখনো রাজুদাকে মাথায় ও কিছ নিয়ে আস্তে হয় বিক্রির জায়গায়। যেতে প্রায় ১০ মিনিটের হাঁটা পথ।
Raju Dar Pocket Paratha শিয়ালদহ চত্তরে অবস্থিত। তিনি এক প্লেটে তিনটি পরোটা সাথে আলু সয়াবিন মটর বাদাম দিয়ে আনলিমিটেড তরকারি ,একটুকরো পেঁয়াজ একটি কাঁচা লঙ্কা সাথে কেউ কেউ সেদ্ধ ডিম ও নিতে পারে। Raju Dar Pocket Paratha খুব আল্প্ টাকায় আনলিমিটেড তরকারির সাথে পাওয়া যায়। বিভিন্ন ছাত্র ছাত্রী স্কুলে নিয়ে যায় ,চাকরি জীবী ,বিভিন্ন পেশাদার এই পকেট পরোটা খেতে আসে। ১০টা বা ১১ টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। কত দূর থেকে খেতে আসে এই পকেট পরোটা।
এখন আপনাদের এলাকায় বিভিন্ন হোটেল ,রেস্তুরা ,বিভিন্ন জল খাবারে দোকানে এই পেকেট পরোটা পেতে পারেন। অনেকে আবার বাড়িতে ও Raju Dar Pocket Paratha বানিয়ে খাচ্ছে। এক প্লেটে তিনটি পরোটা সাথে আলু সয়াবিন মটর বাদাম দিয়ে আনলিমিটেড তরকারি ,একটুকরো পেঁয়াজ একটি কাঁচা লঙ্কা সাথে কেউ কেউ সেদ্ধ ডিম ও নিতে পারে।